আপনি বা আপনার কাছের কেউ কি মা হতে চলেছে? আসলে মা হওয়ার মাধ্যমে একজন নারীর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়ের সূচনা হয়। মায়েদের একদম শুরু থেকেই তার অনাগত সন্তানের যত্নে সচেতন থাকতে হবে। এসময়ে বিভিন্ন উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে আপনার মনে অনেক প্রশ্নও আসছে। তার মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না। আজকের এই ব্লগ পোষ্টে আমরা গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ভিটামিন, পরিপূরক এবং পুষ্টির গুরুত্বের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া উচিত আর কি কি খাওয়া অনুচিত তা নিয়ে আলোচনা করব।
গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীর কেবল নিজের জন্য নয়, বরং একটি নতুন জীবনের জন্যও পুষ্টি সরবরাহ করে। এ সময় সঠিক ভিটামিন, পরিপূরক, এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। পুষ্টির অভাব শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং মায়ের স্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
যেমনঃ গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এটি স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের গঠন সঠিকভাবে সম্পন্ন করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের ত্রুটি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় রক্ত তৈরির প্রক্রিয়া বেড়ে যায়, তাই মায়ের শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের প্রয়োজন হয়। আয়রনের অভাবে রক্তস্বল্পতা হতে পারে, যা ক্লান্তি এবং দুর্বলতার সৃষ্টি করে। এছাড়াও এটি শিশুর জন্য সঠিক অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করে। আবার ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি শিশুর হাড় এবং দাঁতের গঠন করে থাকে। ক্যালসিয়ামের অভাবে মায়ের হাড় দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
0
0
গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য গ্রহণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন, এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রাখা উচিত। বিশেষ করে, পাকা ফল, সবুজ শাক, ডাল, এবং দুধজাত পণ্যগুলো গর্ভাবস্থার সময় পুষ্টির চাহিদা পূরণে সহায়ক।
এসময় যেকোনো ভিটামিন বা পরিপূরক গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত ডোজ বা ভুল পুষ্টি গ্রহণ মায়ের এবং শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।এজন্য একজন গর্ভবতী মায়েদের এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থায় একটি সুষম এবং পুষ্টিকর ডায়েট মায়ের স্বাস্থ্য এবং শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় বিশেষ ডায়েট গঠন করার সময় নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি উপাদান এবং খাদ্যগ্রহণের নিয়ম মেনে চলা উচিত। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের খাবারে সাধারণত কী কী থাকতে হবে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ
ফলমূল ও শাকসবজি: আঁশও ফাইবার এবং ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে প্রতিদিনের ডায়েটে বিভিন্ন ধরনের তাজা ফলমূল ও শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, মাছ, মাংস, ডাল এবং বাদাম প্রোটিনের চমৎকার উৎস। প্রোটিন শিশুর টিস্যু এবং কোষ গঠনে সহায়ক।
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার: দুধ, দই, পনির এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়ামের উৎস যা শিশুর হাড় ও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: পালং শাক, বিট, ডাল এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার মায়ের রক্তস্বল্পতা রোধে সাহায্য করে। আয়রনের শোষণ বাড়ানোর জন্য খাবারের সঙ্গে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (যেমন কমলা, লেবু) খাওয়া উচিত।
কার্বোহাইড্রেট: চাল, রুটি, ওটস, এবং অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট খাবার শক্তি যোগায় এবং মায়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজনীয়।
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হলো স্বাস্থ্যকর তেলযুক্ত খাবার। এর উৎস হিসেবে মাছ, অ্যাভোকাডো, এবং বাদাম ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি শিশুর মস্তিষ্ক এবং চোখের বিকাশে সহায়ক।
একবারে বেশি খাবার না খেয়ে দিনে ৫-৬ বার পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করা উচিত।
পর্যাপ্ত পানি পান করা শরীর হাইড্রেট রাখতে এবং বর্জ্য পদার্থ সহজে নির্গত করতে সহায়ক।
অতিরিক্ত তেল-চর্বি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
উক্ত ডায়েট অনুসরন করার পাশাপাশি বাজারে পাওয়া উচ্চ প্রটিন ও প্রায় সকল প্রকার দরকারি নিউট্রেশন সমৃদ্ধ মাদার হরলিক্স গর্ভাবস্থায় মা ও অনাগত শিশুর বাড়তি পুষ্টি পূরনে অত্যন্ত সহায়ক।
মূলত সঠিক খাদ্যাভ্যাস, গর্ভাবস্থার বিভিন্ন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এবং সুস্থ সন্তানের জন্মের সম্ভাবনা বাড়ায়। এজন্য গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী একটি বিশেষ ডায়েট পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
বর্তমানে অতি স্বল্প খরচে প্রেগনেন্সি কিট ব্যবহার করে গর্ভধারনের বিষয়টি নিশ্চিত জানা যায়। গর্ভধারনের একদম শুরু থেকেই কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখা উচিত। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাওয়া-দাওয়া। এ সময় কিছু খাবার শিশুর স্বাস্থ্য ও বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গর্ভবতী মায়েদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিচে গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না সেসব খাবারের সংক্ষিপ্ত ছক দেওয়া হলো:
|
খাবারের ধরন |
নির্দিষ্ট খাবার |
|
কাঁচা বা আধা-পাকা খাবার |
কাঁচা ডিম, অপাস্তুরিত দুধ |
|
উচ্চ পারদযুক্ত মাছ |
টুনা, ম্যাকারেল, সোর্ডফিশ, বড় রুই-কাতলা |
|
প্রক্রিয়াজাত খাবার |
সসেজ, সালামি, প্রসেসড মাংস |
|
দূষিত পানি ও পানীয় |
অপরিষ্কার পানি, রাস্তার শরবত |
|
অতিরিক্ত ক্যাফেইন |
অতিরিক্ত চা / কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক |
|
নরম এবং অপরিপক্ক পনির বা চিজ |
ব্রি, ক্যামেম্বার্ট, ব্লু-ভেইন চিজ |
|
অ্যালকোহল বা সেকেন্ড-হ্যান্ড স্মোক |
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ও সিগারেট |
|
অস্বাস্থ্যকর ভেষজ চা |
অজানা ভেষজ চা |
|
অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার |
ভাজা-পোড়া খাবার, অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার |
উপরে উল্লেখিত গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার ব্যতিত আরো বেশ কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় খাওয়া ক্ষতির কারন হতে পারে। নিম্নে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
গর্ভাবস্থায় শাকসবজি একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস হলেও কিছু শাক এড়িয়ে চলা উচিত। নির্দিষ্ট কিছু শাকে এমন উপাদান থাকতে পারে যা গর্ভের শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বা গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা উচিত এমন শাকের তালিকা ও কারণ তুলে ধরা হলো:
পুঁই শাক: পুঁই শাক হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং অতিরিক্ত গ্যাস বা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি গর্ভধারণের জটিলতা বাড়াতে পারে।
হেলেঞ্চা শাক: অতিরিক্ত হেলেঞ্চা শাক খাওয়া শরীর ঠান্ডা করে দেয়, যা গর্ভাবস্থার নির্দিষ্ট সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত সংকোচনের (uterine contraction) কারণ হতে পারে।
বথুয়া শাক: বথুয়া শাকে অক্সালেটস এবং নাইট্রেটসের পরিমাণ বেশি থাকে, যা কিডনির সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি গর্ভবতী মায়ের হজম প্রক্রিয়ায়ও সমস্যা তৈরি করতে পারে।
নটে শাক: নটে শাকে ফাইটোকেমিক্যালস থাকতে পারে যা গর্ভের শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষত, এটি প্রথম ট্রাইমেস্টারে এড়িয়ে চলা উচিত।
বিশেষ সতর্কতা:
সব ধরনের শাক খাওয়ার আগে সেগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার এবং রান্না করা জরুরি। কাঁচা বা অপরিষ্কার শাকে ব্যাকটেরিয়া বা প্যারাসাইট থাকতে পারে, যা গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ।
নতুন কোনো শাক খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত, বিশেষত যদি শাক সম্পর্কে আগে থেকে কোনো ধারণা না থাকে।
গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সেরা উৎস হতে পারে, যা শিশুর মস্তিষ্ক ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। তবে, কিছু মাছের মধ্যে এমন উপাদান থাকে যা গর্ভবতী মায়ের এবং গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। নিচে বাংলাদেশে প্রচলিত এমন কিছু মাছের তালিকা এবং সেগুলো এড়িয়ে চলার কারণ তুলে ধরা হলো:
পাঙ্গাস মাছ (নদীর): নদীতে ধরা পাঙ্গাস মাছ প্রায়ই ভারী ধাতু (যেমন পারদ) এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ দ্বারা দূষিত হতে পারে। এগুলো গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।
ট্যাপা মাছ: ট্যাপা মাছ প্রায়ই পুকুর বা খালের নিচু স্তরের মাছ হওয়ায় এতে দূষিত পদার্থ জমা হয়। এসব পদার্থ গর্ভবতী মায়ের হজম প্রক্রিয়া বা শিশুর বিকাশে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শিঙ-মাগুর মাছ (খামারের): খামারে চাষকৃত শিঙ এবং মাগুর মাছে প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক এবং রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এগুলো মায়ের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এবং শিশুর হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত করতে পারে।
কাঁচকি মাছ: কাঁচকি মাছে কখনো কখনো জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা কাঁচা বা অপর্যাপ্ত রান্না করলে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
চিংড়ি মাছ: যদিও চিংড়ি পুষ্টিকর, তবে যদি এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ বা রান্না করা না হয়, তাহলে এতে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকার ঝুঁকি থাকে।
টুনা (Tuna): বিশেষ করে বড় প্রজাতির টুনা (যেমন আলবাকোর টুনা) পারদে সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
বড় আকারের মাছ: রুই, কাতলা বা বাঘাইর মাছের বড় আকারের প্রজাতিগুলোর মধ্যে ভারী ধাতু এবং পারদের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা:
কাঁচা বা আধা রান্না করা মাছ খাওয়া গর্ভাবস্থায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলা উচিত।
মাছ কেনার সময় সতেজ এবং পরিচ্ছন্ন মাছ বেছে নেওয়া উচিত।
সঠিকভাবে রান্না করা এবং অতিরিক্ত মশলা বা তেল এড়িয়ে চলা উচিত।
নতুন ধরনের মাছ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
গর্ভাবস্থায় মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। তবে কিছু ফল আছে যা গর্ভাবস্থার সময় এড়িয়ে চলা উচিত। এই ফলগুলো খেলে গর্ভের শিশুর জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হতে পারে। নিচে সেই ফলগুলো উল্লেখ করা হলো:
পেঁপে (Papaya): কাঁচা বা আধা-পাকা পেঁপেতে প্যাপেইন এবং লেটেক্স নামে দুটি উপাদান থাকে, যা গর্ভাশয়ের সংকোচন ঘটাতে পারে। এটি গর্ভপাত বা প্রি-টার্ম লেবারের ঝুঁকি বাড়ায়।
আনারস (Pineapple): আনারসে ব্রোমেলিন নামে একটি এনজাইম থাকে। এটি গর্ভাশয়ের নরম টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কৃষ্ণজাম বা জাম (Blackberry): কৃষ্ণজামে প্রাকৃতিক অ্যাসিড বেশি থাকে, যা কিছু মায়ের ক্ষেত্রে পেটের গ্যাস বা অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে। এটি যদিও খুব ঝুঁকিপূর্ণ নয়, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খাওয়াই ভালো।
লিচু (Lychee): লিচুতে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকে। বিশেষ করে যদি মা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস জনিত সমস্যায় ভোগেন তবে এটি রক্তের শর্করা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ডুরিয়ান (Durian): ডুরিয়ান ফল গরম প্রকৃতির এবং এতে উচ্চ ক্যালোরি ও চর্বি থাকে, যা গর্ভকালীন ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ সতর্কতা:
গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার সময় তাজা, পাকা এবং পরিস্কার ফল বেছে নেওয়া উচিত।
যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ও নবজাতকের সুস্থতার জন্য খাবারের পাশাপাশি একজন মাকে আরো বেশ কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। যেমনঃ ভারী বস্তু উত্তোলন না করা, হালকা ব্যায়াম করা, যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো, মানসিক চাপ কমানো, ইত্যাদি। ডাক্তারের যথাযথ পরামর্শ অনুযায়ী এই করণীয় বিষয়গুলো মেনে চললে গর্ভাবস্থায় মায়ের এবং শিশুর উভয়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
উপসংহার
আমরা জানলাম গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না। গর্ভাবস্থায় সঠিক খাবার বেছে নেওয়া শুধু মায়ের শরীরের জন্য নয়, গর্ভের শিশুর সঠিক বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মা ও গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তাই, যেকোনো খাবার নিয়ে সন্দেহ বা অস্বস্তি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক খাদ্যাভ্যাস গর্ভাবস্থাকে সুস্থ, নিরাপদ এবং আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য করবে।
গর্ভবতী অবস্থায় কিভাবে ঘুমানো উচিত?
বাম পাশ ফিরে ঘুমানো ভালো, কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শিশুর অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।
কোন মাসে মা বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করে?
সাধারণত ৪-৫ মাস (১৮-২০ সপ্তাহ) পর থেকে বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করা যায়।
গর্ভাবস্থায় কতক্ষণ হাঁটা উচিত?
প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট ধীরে হাঁটা নিরাপদ ও উপকারী।
গর্ভাবস্থায় ঘুম কম হওয়া কি স্বাভাবিক?
হ্যাঁ, এটি স্বাভাবিক, বিশেষত গর্ভাবস্থার শেষের দিকে। হরমোন পরিবর্তন ও শারীরিক অস্বস্তি অনিদ্রার কারণ হতে পারে।
কোন সপ্তাহে প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করা উচিত?
সাধারণত ৬-৮ সপ্তাহে প্রথম আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়।