গলার পেছনে অবস্থিত দুটি উপবৃত্তাকার লসিকা গ্রন্থিকে টনসিল বলা হয়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টনসিলের প্রদাহকেই টনসিলাইটিস (Tonsillitis) বলা হয়। এটি অনাক্রম্যতন্ত্রের প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষক হিসেবে কাজ করে, ফলে সংক্রমণ ও প্রদাহের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। টনসিল শরীরের লসিকা তন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে এবং এটি শরীরে প্রবেশকারী ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন হিসেবে ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরের টক্সিন বা ক্ষতিকারক উপাদান শনাক্ত করে এবং তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করে। টনসিলের টিস্যুতে থাকা লসিকা কোষ (লিম্ফোসাইট) ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।
টনসিলের সংক্রমণের জন্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া উভয়ই ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস অন্যতম প্রধান কারণ। এর পাশাপাশি, বারবার ঠান্ডা-সর্দি হওয়া, অপুষ্টি, দূষিত পরিবেশ, শরীরের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় পান করার অভ্যাস এবং ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবও টনসিল ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও এটি ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি হয়, তবে যে কোনো বয়সের মানুষই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। টনসিলের ব্যথা কমাতে লবণ পানি গার্গল, আদা চা, লেবু-মধু মিশ্রণ, গ্রিন টি, ও হলুদ দুধের মতো প্রাকৃতিক সমাধান দ্রুত আরাম দেয়। এই আর্টিকেলে শীতে টনসিলের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলো বিস্তারিত লেখা হলো।
শীতে টনসিলের সমস্যা সাধারণত বেশি হয় কারণ শীতকালীন সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ে। এ সময়ে ঠান্ডা আবহাওয়া, গরম-ঠান্ডা পরিবেশের পার্থক্য এবং শ্বাসনালীতে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। টনসিল একটি ইমিউন সিস্টেমের অংশ এবং এটি শ্বাসনালীর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করার জন্য কাজ করে। শীতকালে শরীরের ইমিউন সিস্টেম কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা টনসিলের প্রদাহ বা ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে।
আরেকটি কারণ হলো, শীতে মানুষ অনেক সময় ঘরবন্দি থাকে এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেশি সময় কাটায়, যা জীবাণুর বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, গলা শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং ঠান্ডা পানির সঙ্গে সংস্পর্শে আসার কারণে টনসিলের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
টনসিল ইনফেকশনের প্রধান লক্ষণ হলো গলা ব্যথা বা অস্বস্তি। এটি সাধারণত খাবার খাওয়ার সময় বাড়ে।
টনসিল ফুলে যায় এবং লাল হয়ে যায়। কখনও কখনও সাদা বা হলুদ দানা দেখা যায়। গলার ভেতরে টর্চ দিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যায় যে টনসিল লালচে রঙ ধারণ করে এবং ফোলা থাকে। অনেক সময় টনসিলের ওপরে সাদা বা হলুদ আস্তরণ জমে থাকতে পারে। পাশাপাশি, গলার দুই পাশের লসিকাগ্রন্থি (লিম্ফ নোড) ফোলাভাবযুক্ত হয়ে যায় এবং সেগুলোতে ব্যথা অনুভূত হয়।
গলা ব্যথা বা প্রদাহের কারণে খাদ্য বা পানি গেলা কঠিন হতে পারে।
ইনফেকশনের কারণে শরীরে জ্বর দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত ১০১°F (৩৮.৩°C) বা তার বেশি হতে পারে।
মাথা বা পেশিতে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
সর্দি, কাশি, বা নাক বন্ধ হওয়া হতে পারে।
টনসিল ইনফেকশন সাধারণত ঘাড় বা বগলে লিম্ফ নোড ফুলিয়ে দেয়, যা চাপ দিলে ব্যথা হতে পারে।
টনসিলের প্রদাহ বা ইনফেকশন থেকে গন্ধ আসতে পারে।
যদি এই লক্ষণগুলো একাধিক দিন ধরে থেকে যায় বা বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টনসিলের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু সহজ ও কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার নিচে তুলে ধরা হলো:
কুসুম গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। এটি প্রাকৃতিক টনিকের মতো কাজ করে এবং গলার সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
এক থেকে দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি এবং সামান্য চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দিনে ৪-৫ বার আদা চা পান করলে টনসিলের ব্যথা কমে। আদায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়।
এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে এক চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু এবং আধা চামচ লবণ মিশিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি টনসিলের প্রদাহ কমাতে বেশ কার্যকর।
এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ গ্রিন টি পাতা এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
টনসিলের ব্যথা উপশমে ছাগলের দুধ বেশ কার্যকর। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকে। তবে ছাগলের দুধ সহজলভ্য না হলে, গরুর দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে পান করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে টনসিলের ব্যথা দ্রুত উপশম হবে এবং আরাম অনুভব করবেন।
টনসিল হলে এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজে গিলে খাওয়া যায় এবং গলায় আরাম দেয়। নিচে টনসিলের সময় খাওয়ার জন্য উপযুক্ত খাবারের একটি তালিকা দেয়া হলো:
তরল ও নরম খাবার
গরম স্যুপ: চিকেন স্যুপ, ভেজিটেবল স্যুপ বা ডাল স্যুপ খাওয়া যেতে পারে। এটি গলায় আরাম দেয় এবং শরীরকে পুষ্টি জোগায়।
খিচুড়ি: হালকা, নরম ও সহজপাচ্য হওয়ায় খিচুড়ি টনসিলের সময় উপকারী।
ওটস: সহজে হজম হয় এবং গলায় আরাম দেয়।
নরম ও সহজে গিলে খাওয়া যায় এমন খাবার
ম্যাশড পটেটো: এটি নরম এবং সহজে খাওয়ার উপযোগী।
সেদ্ধ ডিম: গরম করে ভালোভাবে সেদ্ধ ডিম খেলে পুষ্টি মেলে।
পুডিং: মিষ্টি পুডিং বা কাস্টার্ড গলায় আরাম দেয় এবং খেতে সহজ।
পর্যাপ্ত তরল গ্রহণ
গরম চা: আদা চা, তুলসী পাতা চা বা মধু মিশ্রিত গরম চা গলায় আরাম দেয়।
গরম পানি: লেবু বা মধু মিশিয়ে পান করলে প্রদাহ কমে।
ফল বা সবজির রস: গাজর, আপেল, এবং কমলার রস শরীরকে সজীব রাখতে সাহায্য করে।
টনসিলের সময় গলা খারাপ করতে পারে এমন শক্ত বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন এবং পর্যাপ্ত পানি ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
যখন ব্যাকটেরিয়া টনসিলাইটিস সৃষ্টি করে, তখন অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর। ব্যাকটেরিয়াল টনসিলাইটিসের জন্য সাধারণত যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলো প্রেসক্রাইবড করা হয়-
পেনিসিলিন: এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত টনসিলাইটিসের জন্য প্রথম পছন্দ। পেনিসিলিন স্ট্রেপ্টোকক্কাস পাইজেনেস ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে খুব কার্যকর।
অ্যামোক্সিসিলিন: অ্যামোক্সিসিলিন গ্রুপের ওষুধগুলো পেনিসিলিনের একটি বিকল্প, যা তার বিস্তৃত কার্যকলাপের কারণে ব্যবহৃত হয়।
সেফালোস্পোরিন: যাদের পেনিসিলিনের প্রতি অ্যালার্জি আছে, তাদের জন্য সেফালোস্পোরিন (যেমন সেফালেক্সিন) কার্যকর হতে পারে।
ম্যাক্রোলাইডস: পেনিসিলিনের অ্যালার্জি বা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অ্যাজিথ্রোমাইসিন বা ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের মতো ম্যাক্রোলাইড ব্যবহার করা যেতে পারে।
এরিথ্রোমাইসিন: ইরিথ্রোমাইসিন শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে অন্যতম শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ।
ক্লিনডামাইসিন: ক্লিন্ডামাইসিন ফুসফুস, ত্বক, রক্ত, মহিলা প্রজনন অঙ্গ এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির সংক্রমণ সহ নির্দিষ্ট ধরণের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। পুনরাবৃত্তি বা প্রতিরোধের জন্য পুরো কোর্সটি সম্পূর্ণ করা অত্যন্ত জরুরি।
শীতে টনসিলের ব্যথা থেকে আরাম পেতে প্রাকৃতিক কিছু সহজ পদ্ধতি অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। লবণ পানি দিয়ে গার্গল, আদা চা পান করা, কিংবা লেবু-মধুর মিশ্রণ খাওয়ার মতো উপায়গুলো তাত্ক্ষণিক আরাম দেয় এবং প্রদাহ কমায়। একই সঙ্গে হলুদ মেশানো গরম দুধ সংক্রমণ রোধে সহায়তা করে। তবে যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা সমস্যা বাড়ে, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অপরিহার্য। নিয়মিত যত্ন এবং প্রাকৃতিক প্রতিকার শীতে টনসিলের যন্ত্রণা মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
টনসিল হলো গলার পেছনে দুই পাশে অবস্থিত লিম্ফ টিস্যুর দুটি গুচ্ছ, যা শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অংশ। এটি শরীরকে জীবাণু ও ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
টনসিলাইটিস হলো টনসিলের প্রদাহ বা ইনফেকশন। এটি সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়।
চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে এবং রোগীর লক্ষণ দেখে এটি নির্ণয় করেন। কখনও কখনও, গলা থেকে স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করা হয় (থ্রোট কালচার)।
৫) টনসিলাইটিস প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে?
• ঠান্ডা বা ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা।
• হাত পরিষ্কার রাখা।
• সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী রাখা।
• ঠান্ডা পানি বা আইসক্রিম এড়ানো।
• সংক্রমিত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকা।
টনসিল হলে সাধারণত দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো, বিশেষ করে ঠান্ডা দুধ। ঠান্ডা দুধ গলার জ্বালা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শ্লেষ্মার পরিমাণ বাড়িয়ে টনসিলের সমস্যা আরো গুরুতর করতে পারে। তবে হালকা গরম দুধ খাওয়া যেতে পারে। এতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে নিলে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে, কারণ হলুদের প্রদাহনাশক গুণাগুণ আছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গরম দুধ খাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
টনসিল হলে ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ঠান্ডা পানি গলা আরো সংবেদনশীল করতে পারে এবং প্রদাহ বাড়িয়ে ব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। এর পরিবর্তে কুসুম গরম পানি পান করা ভালো, যা গলায় আরাম দেবে এবং সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করবে। গলা ভালো রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাই উত্তম।
হ্যাঁ, যদি এটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়। এটি হাঁচি, কাশি বা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস (যেমন, তোয়ালে, গ্লাস) থেকে ছড়াতে পারে।
• গরম পানি বা লবণ পানি দিয়ে গার্গল।
• গরম চা বা মধু মিশ্রিত পানি পান করা।
• ঠান্ডা খাবার এড়ানো।
• পর্যাপ্ত পানি পান এবং বিশ্রাম নেওয়া।
মানসিক চাপ সরাসরি টনসিল বৃদ্ধি করে না, তবে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে। যখন শরীর মানসিক চাপে থাকে, তখন ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা কমে যায়, যা বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এর ফলে টনসিল সংক্রমিত হয়ে ফুলে যেতে পারে বা প্রদাহ হতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত বিশ্রাম, যোগব্যায়াম, এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। পাশাপাশি টনসিল বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টনসিলের সাদা দাগ সাধারণত টনসিলের ওপর জমে থাকা পুঁজ, খাদ্য কণা, ক্যালসিয়াম ডিপোজিট, বা ইনফেকশনের কারণে হতে পারে। এটি দূর করার জন্য প্রথমে এর কারণ বোঝা জরুরি। সাদা দাগ যদি টনসিলাইটিস বা টনসিল স্টোন (Tonsilloliths) এর কারণে হয় তাহলে কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো:
• গার্গল করা
• পানি পান ও হাইড্রেশন বজায় রাখা
• খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
• বুলেট স্যালাইন স্প্রে ব্যবহার করা
• স্ট্রেপটোকোক্কাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে চিকিৎসা
• টনসিল স্টোন সরানো
• চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
• দীর্ঘমেয়াদী বা ঘন ঘন সাদা দাগ থাকলে ইএনটি (ENT) বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
• টনসিল বড় হয়ে গেলে বা শ্বাস বা গেলা কষ্টকর হলে, টনসিল অপসারণ (টনসিলেক্টোমি) প্রয়োজন হতে পারে।
• সাদা দাগ জোর করে তোলার চেষ্টা করবেন না, কারণ এটি টনসিলের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
• বাড়িতে যদি কোনো পদ্ধতি কাজ না করে, দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
0
0